মিজানুর রহমান মিলন, শেরপুর প্রতিনিধিঃ শেরপুরে বড় বোনের বাড়িতে ঘুরতে এসে ধর্ষণের স্বীকার হয়েছে এক যুবতী। ১৬ মে সোমবার গাজিপুর থেকে শেরপুরে বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে গণধর্ষনের শিকার হয় ছোট বোন।
এঘটনায় বড় বোন বাদি হয়ে শেরপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ দুই ধর্ষকের একজনকে গ্রেফতার করেছে। অপরদিকে ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ মে সোমবার সন্ধ্যায় শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের নয়া পাড়া গ্রামে।
পুলিশ জানায়, গত দুই দিন আগে শেরপুর পৌর এলাকার চকপাঠক মহল্লায় গাজিপুর থেকে ১৮ বছর বয়সের ছোট বোন বড় বোনের বাসায় বেড়াতে আসে। ১৬ মে সোমবার বিকেলে বড় বোনকে সাথে নিয়ে ছোট বোন সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের নয়া পাড়া গ্রামে চর্ম রোগের চিকিৎসার জন্য জনৈক হাবিবুল্লাহ সাধু নামে এক কবিরাজের বাড়ির উদ্যেশে রওনা হয়।
কবিরাজের বাড়ি কাছাকাছি একটি লেবু বাগানের ভিতর দিয়ে যাবার সময় সন্ধ্যা হয়ে গেলে পাশ্ববর্তি লছমনপুর গ্রামের সুরুজ্জামানের ছেলে মাছ বিক্রেতা হাফিজুর রহমান মন্টু এবং একই ইউনিয়নের হাতি আগলা গ্রামের আজাদ মিয়ার ছেলে আলম মিয়া তাদেরকে গতি রোধ করে বড় বোনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে জোড় পূর্বক ছোট বোনকে তুলে নিয়ে যায়।
এসময় বড় বোনের ডাক চিৎকার শুনে আশ পাশের লোকজন জড়ো হয়ে লেবু বাগান ও আশপাশে ছোট বোন ও অপহারণকারীকে খুঁজতে থাকে । এক পর্যায় ওই লেবু বাগানের এক ঝোপের কাছে ছোট বোনকে উদ্ধার করে। তখন সে জানায় ওই দু’জন তাকে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
এঘটনায় ধর্ষিতার বড় বোন বাদী হয়ে ওই রাতে সদর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোমবার রাত সাড়ে ১১ টার দিয়ে নয়া পাড়া গ্রাম থেকে হাফিজুর রহমান মন্টু নামে এক ধর্ষককে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়ে দেয়। অন্যজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানায় সদর থানা পুলিশ।
এ বিষয়ে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হান্নান মিয়া বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষণের আলামাত উদ্ধার করে এক ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অপরজনকে গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।